মিশকাতুল আনওয়ার – ইমাম গাজ্জালী রহ. muslim ebook download
| Author: বাংলা ইসলামিক বুক | Date: Aug 24, 2016 | Time: 8:09 pm | Category: ইমাম গাযযালী রহ. | No Comment
ebook download, islamic websites, islam beliefs, marriage in islam, about islam, islamic, muslim, islam religion, history of islam, islamic sites, what is islam, islamic history.
বিসমিল্লাহীর রাহমানির রাহীম
মিশকাতুল আনওয়ার (আলোর দীপাধার)
লেখক: ইমাম গাজ্জালী রহ.
কিছু অংশ টাইপ করে দিলাম…….
প্রথম অধ্যায়
আলোর শ্রেণীভেদ
আল্লাহ তা’আলাই একমাত্র আলোর উৎস। এ ছাড়া অন্যদের বেলায় ‘আলো’ শব্দটি রূপক অর্থে ব্যবহৃত হয়, বাস্তব অর্থে নয়।
‘আলো’ শব্দটির তিনটি অর্থ রয়েছে। 1. সাধারণের কাছে, 2. বিশেষ লোকদের কাছে এবং 3. অবশিষ্ঠ লোকদের কাছে। আবার এর ভিন্ন ভিন্ন স্তার রয়েছে। মোট কথা, আল্লাহ তা’আলার চরম আলো, পরম নূ। তিনিই সত্যিকার ও প্রকৃত একক জ্যোতি এবং অন্য কেউ এর শরীক নেই।
সাধারণের দৃষ্টিতে আলো:
সাধারণের দৃষ্টিতে আলো মানে ‘প্রকাশ’ বা ‘পরিদৃশ্যমান জগত’। আর প্রকাশ হচ্ছে- একটি সম্বন্ধযুক্ত ক্রিয়া। কেননা এখান প্রতিটি জিনিষ অপরটির কাছে প্রকাশিত ও হয় আবার তা অপরটি হতে লুকায়িতও হয়। অতএব প্রকাশ ও গোপন উভয়ই সম্বদ্ধযুক্ত। সাধারণের কাছে পঞ্চইন্দ্রিওয়ের মধ্যে দৃষ্ট শক্তির সাথে এর নিকট সম্ভব রয়েছে।
সৌন্দর্যের দিক দিয়ে বস্তুগুলো তিন ভাবে বিভক্ত:
1. যা দৃষ্টি গোচর হয় না, যথা- কালো বস্তু।
2. যা দৃষ্টিগোচর হয়, কিন্তু তা দিয়ে অন্য কোন বস্তু দেকা যায় না। যেমন- উজ্জ্বল বস্তু, নক্ষত্র, অনুজ্জল অগ্নি।
3. যা দৃষ্টি গোচর হয় এবং তা দিয়ে অন্য বস্তুও দেখা যায়। যেমন- চন্দ্র, সূর্য, স্ফুলিঙ্গ; অঙ্গি, প্রভূতি। এই তৃতীয় প্রকারই ‘আলো’ নামে অভিহিত।
কখনো কখনো উজ্জ্বল বস্তু হতে বস্তুর উপর প্রতিফলিত আলোকে ‘আলো’ বলা হয়। যেমন- বলা হয়, পৃথিবী আলোকিত হয়েছে অথবা সূর্যালোক পৃথিবীকে উজ্জ্বল করেছে। এগুলৈাকে ‘আলো’ বলা হয়।
সংক্ষেপে বলতে গেলে, যে বস্তু দৃষ্টি গোচর হয় এবং তা দিয়ে অন্য বস্তুও দেখা যায়, তাকেই ‘আলো’ বলে।
আলোর বৈশিষ্ট্য হলো- প্রকাশ ও দর্শন। আর এই প্রকাশ ও দর্শন নির্ভর করে দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন চোখের উপর। আলো প্রকাশ পেলে এবং অন্য বস্তুকে প্রকাশিত করলেও অন্ধ ব্যক্তির পক্ষে তাতে কোনো উপকার হয় না। ‘আলো’ শব্দ দ্বারা প্রকৃত অর্থে আমরা আলো দেখার যন্ত্র চোখকেই বুঝি। এ কারণেই তত্ত্বানুসন্ধানীরা দৃষ্টি শক্তি সম্পন্ন চোখের আলোকে ‘আলো’ বলে অভিহিত করেছেন। তাই চামচিকে সম্পর্কে বলা হয়ে যে, তার চোখের আলো উবো গোছে! চোখের আরোকে কেন্দ্রীভূত করে এবং তাকে সবল করে। মহান আল্লাহ্ বিশেষ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চোখের চারধার বেষ্টন করে এবং আরৈাকে কেন্দ্রীভূত করতে পারে।
চোখের সাদা অংশটি চোখের আলো বিক্ষপ্ত করে, এতে করে দৃষ্টি শক্তি ক্ষীণ হয়ে যায়। ফলে সূর্যের তীব্র আলোর দিকে তাকালে চোখ ধাঁধিয়ে যায়! যদিও একটা সাময়িক ব্যাপার, তবুও সকলের সামনে দুর্বলের নিস্তেজ হওয়ার একটা উদাহরণ।
উপরে উল্লেখিত আলোচনা হতে এটা প্রতীয়মান হয় যে, দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন চোখকেই ‘আলো’ বলা হয়। এখন প্রশ্ন এর নাম কে ‘আলো’ হলো? এবং এ নামের কি সার্থকতা রয়েছে? এসব ধারণা বিষিষ্ট লোকদের কাছে সুস্পষ্ট। মারিফাতহীন লোকদের জন্য এ আলোচনা নয়।
দৃষ্টি শক্তি ত্রুটি-বিচ্যুতি:
ছোখের আলোর কয়েকাটি ত্রুটি রয়েছে। যেমন- কোখ অপরকে দেখতে পায়, কিন্তু নিজেকে দেখতে পায় না। েএভাবে ইহা অতি দূরবর্তী বস্তু এবং অতি নিকটবর্তী বস্তু দেখতে পায় না। অনুরূপ পর্দার অন্তরালের বস্তুও দেখতে পায়, কিন্তু আভ্যন্তরীন অ অপ্রকাশ্য অংশ দেখতে পায় না। পরিদৃশ্যমান বস্তুর কোনটি দেখতে পায়, কোনটি দেখেতে পায় না। ইহা সসীমকে দেখতে পায়, অসীমকে দেখতে পায় না। কখনো চোখ দর্শন করতে ভুলও করে! বড়কে ছোট ছোটকে বড়, দূরকে নিকট, স্থিরকে চলন্ত এবং গতি সম্পন্নকে স্থির বলে দর্শন করে। এসব থেকে বুঝা যায় যে, চোখের আলোর উপরোক্ত সাতটি ত্রুটি রয়েছে।
উপরের আলোচনায় এটাই প্রমাণিত যে, মানুষের মনে পরিপূর্ণ গুণসম্পন্ন একটি চোখ রয়েছে, যাকে বোধশক্তি অদ্যাত্ম, মানবীয় আত্মা…..
বাকি অংশ পড়ুন ডাউনলোড করে। আল্লাহ হাফেজ।
Tags# ebook download, islamic websites, islam beliefs, marriage in islam, about islam, islamic, muslim, islam religion, history of islam, islamic sites, what is islam, islamic history.
Leave a Reply