তরবিয়তে আওলাদ- ইসলামের দৃষ্টিতে সন্তান প্রতিপালনে
| Author: বাংলা ইসলামিক বুক | Date: Mar 12, 2016 | Time: 9:51 am | Category: আশরাফ আলী থানভী রহ., বাংলা ইসলামিক বই | No Comment
সন্তান প্রতিপালনে কষ্ট স্বীকার এবং দুধ পান করানো ফজিলত
রাসূলে আকরাম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেনঃ নারীগণ গর্ভধারণ হইতে শুরু করিয়া সন্তান প্রসব এবং তৎপরবর্তী দুধ ছাড়ানো পর্যন্ত (যে কষ্ট করে উহাতে) সে ইসলামী সীমান্তের প্রহরীর মত ছাওয়াব লাভ করে, (সীমান্তের প্রহরী প্রতিটি মুহূর্তে সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকে)। নারী যদি ঐ সময়-সীমার মধ্যে ইন্তেকাল করে তবে সে শহীদদের বরাবরে ছওয়াব লাভ করিবে।
রাসূলে আকরাম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেনঃ নারী যখন সন্তানকে দুধ পান করায় তখন প্রতি ঢোক দুধের বরাবরে এইরূপ বিনিময় লাভ করে যেন কোন প্রাণীকে সে জীবন দান করিলো। পরে সে যখন সন্তানের দুধ ছাড়ায় তখন ফেরেশতা তাহার কাধ স্পর্শ করিয়া (সাবাসী) দিয়া বলে যে, তোমার বিগত জীবনের সকল গুনাহ মাফ করিয়া দেওয়া হইয়াছে। এখন ভবিষ্যতে যে গুণাহ করিবে উহা লিপিবদ্ধ করা হইবে। এই গোনাহের অর্থ ছগীরা (ছোট) গোনাহ। তবে ছগীরা গোনাহ্ ক্ষমা হইয়া যাওয়াও কম কথা নহে।
কন্যা-সন্তান প্রতিপালনের ফজিলত
রাসূলে আকরাম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেনঃ যেই ব্যক্তির তিনটি কণ্যা সন্তান হইবে এবং সে তাহাদিগকে এলেম-কালাম, আদব-কায়দা শিক্ষা দিবে এবং যত্নের সহিত প্রতিপালন করিবে ও তাহাদের উপর অনুগ্রহ করিবে, সেই ব্যক্তির উপর অবশ্যই জান্নাত ওয়াজিব হইয়া যাইবে।
ফায়দাঃ ছেলে-সন্তানের প্রতি মানুষের আকর্ষণ স্বভাবজাত ও চিরন্তন। এই কারণেই উহার ফজিলত বর্ণনার বিষয়টি শরীয়ত এতটা গুরুত্ব প্রদান করে নাই।
Leave a Reply