আসহাবে কাহাফ সাত যুবকের গল্প বাংলা বই download
| Author: বাংলা ইসলামিক বুক | Date: Aug 23, 2016 | Time: 6:39 pm | Category: ফ্রি ডাউনলোড, বাংলা ইসলামিক বই, স্যায়েইদ আবুল হাসান আলী নদভী রহ. | No Comment
আসহাবে কাহাফ
আসহাবে কাহাফ সম্পর্কিত সাত যুবকের গল্প নামক বই
বিসমিল্লাহীর রহমানি রাহীম
আসহাবে কাহাফ এর ‘সাত যুবকের গল্প’ নামক বাংলা বই/কিতাবটি থেকে কিছু অংশ টাইপ করে দিলাম। পড়ুন ইনশাআল্লাহ ভালো লাগবে। আর সম্পূর্ণ বাংলা ইসলামিক কিতাবটি পড়তে পিডিএফ বইটি ডাউনলোড করে নিন।
আসহাবে কাহাফ সম্পর্কিত পবিত্র কুরআনের আয়াত
“তারা ছিল কয়েকজন যুবক। তারা তাদের প্রতিপালকের প্রতি ঈমান এনেছিল এবং আমি তাদের সৎপথে চলার শক্তি বৃদ্ধি করেছিলাম, আমি তাদের চিত্ত দৃঢ় করে দিলাম; তারা যখন ওঠে দাঁড়ালো তখন বলল, আমাদের প্রতিপালক! আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীল প্রতিপালক! আমরা কখনোই তাঁর পরিবর্তে অন্য কোন মাবুদকে ডাকাব না; যদি করে বসি তাহলে সেটা খুবই গর্হিত হবে। [সূরা কাহাফ:১৭:১৩-১৪]
আসহাবে কাহাফ সম্পর্কিত সাত যুবকের গল্প বইয়ের কিছু অংশ….
সূরা কাহাফের যে আয়ত দুটি উদ্ধৃত করেছি সেই আলোকে এবং আধুনিককালের স্টাইলে যদি বল তাহলে আজকের আলোচনার নাম দিতে পারি- ‘সাত যুবকের গল্প’। আমি মনে করি, আল-কুরআনের বর্ণিত এই গল্পে মানব জাতির তরুণ সমাজের জন্যে এক মহান পয়গাম নিহিত রয়েছে। এই ঘটনা তাদের জন্যে এক উন্নত মডেল। চেতনার অবিনাশী উৎস। সকল কালের তরুণদের জন্যেই সমান উপযোগী এই ঘটনা। শুধু মন ও বিশ্বাসই নয় বরং যোগ্যতা, সাহস, স্বপ্ন ও সংকল্প নির্মাণেও এই ঘটনা সমান কার্যকর। কখনও বা এই গল্প পাঠে হৃদয়ে প্রশান্তির শিশির ঝরে, কখনও বা বর্ষিত হয় তরতাজা পুষ্পবৃষ্টি, কখনও বা হৃদয়ে জ্বলে ওঠে দৃঢ় অঙ্গীকার। আমি আজকের যুবসমাজকে সেই গল্পই শোনাতে চাই। আমি শোনাচ্ছি না। মোণাচ্ছে আল কুরআন নিচে। আর তারা ছিল এত ভাগ্যবান, কুরআন তাদের গল্প শুনিয়ে তাদেরকে শাশ্বত ও চিরন্তন মর্যাদায় ভূষিত করেছে। সকল কালের সকল তরুণদেরন জন্যে তাদেরকে নির্বাচন করেছে অনুসরণীয় ‘মডেল’ হিসাবে। ঘটনার বর্ণনা খুবই সরল ও সংক্ষিপ্ত। অথচ খুবই গভীর এবং শিক্ষণীয়। আসহাবে কাহাফ
গল্পটি হলো এই, রোমান সুপার পাওয়ার শাসিত একটি অঞ্চল। যাকে শাম ও ফিলিস্তিন বলা হয়। এই অঞ্চলেই একটি দাওয়াত সৃষ্টি হলো। যার বাহক সায়্যিদুনা হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম। আমরা মুসলমানরাও যাঁকে আল্লাহর নবী হিসাবে মানি ও শ্রদ্ধা করি। তিনি আবির্ভূত হলেন। তাওহীদের প্রতি জানালেন উদাত্ত আহ্বান। অথচ খোদার দুনিয়াটা তখন শিরক ও কুফুরীর অন্ধকারে নিমজ্জিত। এই অন্ধকারের মর্ধেই তিনি আলোর চেরাগ হাতে ওঠে দাঁড়ালেন। শিরক, বংশপূজা, রুসুম-রেওয়াজের অন্ধ অনুকরণ, সংশয়বাদ, ক্ষমতার দাপট আর মানবতা বিরোধী সকল তৎপরতার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুললেন। তাঁর এই দাওয়াতের ভিত্তি তাওহীদ ও নিরেট আল্লাহর দাসত্ব। কেউ কেউ তাঁর এই দাওয়াত মেনে নিলেন। তারা নিজেরাও শরীক হয়ে পড়লো মহান এই তাওহীদি মিছিলে। তারা তাওহীদের এই আলৈাকিত পয়গাম নিয়ে নিজেদের অঞ্চল থেকে বেরিয়ে এললা। রোমকদের শাসনকেন্দ্রের কাছে গিয়ে এই দাওয়াত তুলে ধরলো।
আসহাবে কাহাফ সম্পর্কিত সাত যুবকের গল্প বইয়ের কিছু অংশ….
এটা বাস্তব, সাধারণত পরিপক্ক বয়স ও অভিজ্ঞতায় যারা পুষ্ট হন তাদের পা প্রচলিত রেওয়াজ, অভিজ্ঞতার আবেদন, ভয় ও সম্ভাবনার অদৃশ্য শেকলে বাঁধা থাকে। য়লে তারা অভিজ্ঞতার নতুন সীমানায় পা দিতে যেমন ভয় পায় তেমনি নবতর আহরে ঝাঁপিয়ে পড়তেও দ্বিধাবোধ করে। থকমে দাঁড়ায়। পক্ষান্তরে ওই অদৃশ্য শেকলমুক্ত তরুণ সমাজ সহজেই পারে যে কোন সংস্কারের ডাকে সাড়া দিতে, নতুন সীমান্তের পথে পা বাড়াতে। যৌবন ও তারুণ্য এভাবেই এগিয়ে নতুননের পথে। আসহাবে কাহাফ
এখানে কুরআনে কারীম চিহ্নিত করেনি, এই যুবকদের বয়স কত ছিল। আর এটাই কুরআনের বৈশিষ্ট্য। কারণ, কুরআন যদি নির্দিষ্ট করে বলতো, তাদের বয়স ছিল ১৮ থেকে ২০ বছর- তাহলে এর নীচের ও উপরের বয়সীরা বলতো, এটা আমাদের গল্প নয়। তাই কুরআন বলেছে: তারা কয়েকজন যুবত ছিল। যারা আরবী ভাষার স্বভাব ও চরিত্রের সাথে পরিচিত তারা জানেন, আরবী ‘ফিতয়াতুন’ শব্দটি বয়সের তারুণ্যের পাশাপাশি মন মেজায সাহস উদ্যাম সংকল্প ও স্বপ্নের তারুণ্যের প্রতিও ইঙ্গিত করে। উর্দু ভাষায় তাই এর তরজমা করা হয় ‘জাওয়াঁ মরদ’। [বাংলায় সম্ভবত এর উপযুক্ত শব্দ হতে পারে তরুণ] সেই সাথে এখানে ‘ফিতয়াতুন’ শব্দটি যেহেতু আরবী ভাষার ব্যাকরণ মতে জমা কিল্লতের জন্য ব্যবহৃত হয় তাই এর অর্থ দাঁড়ায়- অল্প ক’জন তরুণ! আর এটাই সর্বকালের বাস্তবতা। যখনই সত্য সুন্দর ও সংশোধনের কোন দাওয়াত এসেছে তো সূচনাতে খুব সামান্যজনই তা গ্রহণ করেছে। আল্লাহ তা’আলা যাদেরকে তাওফিক দিয়েছেন তারাই যুগে যুগে এই সাহস করেছেন। আসহাবে কাহাফ
এখানে আল্লাহ তাআলা তাঁর সুন্দরতম নামাবলীর মধ্য থেকে ‘রব’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন। ইরশাদ করেছেন: ‘তারা ছিল কয়েকজন তরুণ- তারা তাদের রবের প্রতি ঈমান এনেছিল।’ এখাবে ‘রব’ শব্দটি গভীর অর্থবহ। কারণ, শাসকরা নিজেদেরকে প্রজাদের রিযিকদাতাও মনে করে। কখনও বা এ কথা মুখে বলে, আবার কখনও তা তাদের কাজে কর্মে ফুঠে ওঠে। ফলে, শাসিতের ভেতরও এমন একটা ধারণা সৃষ্টি হয়, তারা ভাবে সম্মানের সাথে বাঁচতে হলে, সুখ-ভোগের……. (সম্পূর্ণ বইটি পড়তে ডাউনলোড করুন)
Leave a Reply