আদাবুল মু’আশারাত – সালামের আদব
| Author: বাংলা ইসলামিক বুক | Date: Aug 24, 2016 | Time: 1:31 pm | Category: আশরাফ আলী থানভী রহ., ফ্রি ডাউনলোড, বাংলা ইসলামিক বই | No Comment
আদাবুল মু’আশারাত PDF Book Free Download
বিসমিল্লাহীর রহমানির রাহীম
সালামের আদব
সুযোগমত সালাম করবে:
আদবঃ-১ যদি মজলিশে কোন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা চলতে থাকে, তখন নতুন কোন ব্যক্তি আগমন করলে অযথা সালাম করে আলোচনায় বাঁধা সৃষ্টি করা ঠিক নয়; বরং তিনি চুপ থেকে সবার দৃষ্টি এড়িয়ে নীরবে বসে পড়বেন এবং সুযোগমত সালাম কালাম করবে।
আদবঃ-২
একে অপরকে পরস্পর “আসসালামুআলাইকুম” বলে সালাম দিবে এবং সালামের উত্তরে “ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহ” বলবে।
আদবঃ-৩
কয়েক জনের মধ্য থেকে যদি একজনেই সালাম দেয়; তাতেই যথেষ্ট হবে। অনুরূপভাবে যদি গোটা মজলিস থেকে একজন উত্তর দেয়, তাতে সকলের পক্ষ থেকে উত্তর আদায় হয়ে যাবে।
আদবঃ-৪
প্রথমে যে সালাম দিবে’ সে অধিক ছওয়াবের অধিকারী হবে। (বেঃ যেওর)
সালামের আরও কতিপয় আদব ও মাসায়েল
(১) সালাম দেওয়া সুন্নত ও সালামের উত্তর দেওয়া ওয়াজিব। “আসসালামুআলাইকুম” বলে সালাম দিবে এবং ‘ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহ’ বলে উত্তদিবে।
(২) পরিচিত অপরিচিত সকলকেই সালাম দেওয়া উচিত।
(৩) মসজিদে উপস্থিত সকলকেই যদি নামায বা অন্য কোন কাজে লিপ্ত থাকতে দেখা যায়, তাহলে মসজিদে প্রবেশ করে সালাম দেওয়া যায় না। আর যদি কেউ কোন কাজে লিপ্ত থাকে আর কেউ অবসর; তাহলে সালাম দেওয়া না দেওয়া দুই-ই সমান।
(৪) যদি একাধিক লোকের মধ্যে নির্দিষ্টবাবে একজনকে সালাম দেওয়া হয়, তাহলে অন্য কেউ উত্তর দিলে উত্তর আদায় হবে না।
(৫) কারও নিকট কেউ অন্যের সালাম পৌছালে….
(৬) ছোটরা বড়দেরকে, চলন্ত ব্যক্তি উপবিষ্ট ব্যক্তিকে আর আরোহী ব্যক্তি পদাতিককে সালাম দেওয়া উচিত।
(৭) কারো নিকট থেকে বিদায় নেওয়ার সময়ও সালাম দেওয়া সুন্নত।
(৮) খালি মসজিদে কিংবা ঘরে প্রবেশ করে….
(৯) করবস্থানে কবরবাসীদেরকে
(১০) মুসলমান ও অমুসলমান একত্রে থাকলে, তখন মুসলমানদের নিয়তে সালাম দিবে।
(১১) কোন অমুসলিম মুসলিককে সালাম দিলে উত্তরে বলবে (আল্লাহ তাকে হিদায়াত দান করুন।)
(১২) প্রয়োজনে অমুসলমানকে সালাম দিতে হলে বলবে….
(১৩) ফাসেক কাজের অর্থাৎ গান-বাজনা শ্রবণকারী, তাস খেলোয়াড় বা দর্শক ইত্যাদি গোনাহে লিপ্ত ব্যক্তিদেরকে সালাম দেওয়া উচিত নয়।
(১৪) যার উপর গোসল ফরয হয়েছে, সে সালাম দিতে পারে।
(১৫) আযানের সময়, জুমুআ, দুই ঈদ ইত্যাদির খুতবা চলাকালে, তেলাওয়াত দরস ও ওয়াযের সময়, আলাপরত অবস্থায়, খাওয়ার সময় ও পেশাব-পাখানা করা অবস্থা সালাম দেওয়া অনুচিত। যদি কেউ দিয়ে লেলে, তাহলে উত্তর দেওয়া ওয়াজিব নয়। (বাহর, শামী)
চিঠির সালামের উত্তর দেয়া ওয়াজিব
আদব: চিঠির মাধ্যমে যে সালাম দেওয়া হয়; তার উত্তর দেয়াও ওয়াজিব।চাই তা চিঠি মারফত হোক বা মৌখিক।
শিশুদের চিঠিতে সালাম ও দু’আর পদ্ধতি
আদব: আমি (হযরত থানভী (রহ)শিশুদের চিঠিতে তাদের মনোরঞ্জনের জন্য দুঅাও লিখে দেই। তবে সুন্নত হিসেবে আগে সালাম উল্লেখ করি। অথাৎ এইভবে লিখি যে, আসসালামু আলাইকুম, দুআপর সমাচার এই যে,……., (কামালাদতে অশরাফিয়া খ: পৃ: 12) আদব: সাধারণত: শিশুদের চিঠির সালামের উত্তর আদায় হয় না। তাই আমি সালাম ও দুআ দুই-ই লিখে থাকি। (অাল ইফাযাতু ইয়াওমিয়্যা পৃ: 144)
সম্পূর্ণ অংশ পড়তে ডাউনলোড করে নিন।
Leave a Reply