তাবলীগ জামাত: ভিত্তিহীন অভিযোগ ও তার জবাব pdf Book Download
| Author: বাংলা ইসলামিক বুক | Date: Aug 30, 2016 | Time: 3:44 pm | Category: তাবলীগ, দাওয়াত ও তাবলীগ, বাংলা ইসলামিক বই | No Comment
বিসমিল্লাহীর রহমানির রাহীম
pdf Book Download
তাবলীগ জামাতের কার্যক্রমঃ একটি সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
মাওলানা মনজুর নোমানী
আমাদের এই উপ-মহাদেশেই (ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ) শুধু নয় বরং এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা এবং আফ্রিকায়ও সম্ভবতঃ এমন কোন দেশ কিংবা এলাকা এরূপ নেই, যেখানে মুসলমানদের বসবাসযোগ্য কোন এলাকা রয়েছে অথচ সেখানে “তাবলীগ জামাত” দ্বীনের মেহনত ও দাওয়াত নিয়ে পৌছেনি, কাজ করেনি। লক্ষ-কোটি মুসলমান-যাদের সাথে দ্বীনের খাদেম তাবলীগীদের সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে, তাঁরা নিজের জ্ঞান ও ধারণানুযায়ী এতটুকু অবশ্যই জানেন যে, তাবলীগ জামাতওয়ালাদের উদ্দেশ্য ও তাঁদের দাওয়াতের মূল ভিত্তি হচ্ছে- আমরা সকলেই যেন প্রকৃত মুসলমান হয়ে যায় এবং উম্মতে মুহাম্মদীর মাঝে যেন ঈমান ও ঈমানওয়ালা জীবনের ব্যপকতা লাভ করে। যে দাওয়াত নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ধারাধামে তাশরীফ এনেছিলেন এবং পবিত্র কুরআনের নিম্নোক্ত আয়তদ্বয়ের দাবীও এটাই যে, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা পরিপূর্ণরূপে মূমিন হও।’ ‘হে মুমিন সকল! তোমরা পরিপূর্ণরূপে ইসলামে প্রবেশ কর।’ (সূরা বাকারা, আয়াত-২০৮)
একাজের জন্যে তাদের একটি বিশেষ প্রোগ্রাম ও কার্যপদ্ধতি রয়েছে। তাদের সর্বপ্রথম আহবান। তোমরা কালেমা শরীফ এর গুরুত্ত্ব ও বাস্তবতা অনুধাবন কর।
এ কালেমার মাঝে যা কিছু বলা হয়েছে, তা প্রতি বিশ্বাস নিজের অন্তরে স্থাপন করে উত্তরোত্তর তা বৃদ্ধির প্রচেষ্ট কর এবং একেই স্বীয় জীবনের বুনিয়াদ হিসেবে গ্রহণ করে নাও।
আল্লাহ্ ত’আলার সাথে আমাদের লা-শারীকী গোলামী ও ইবাদতের যে সম্পর্ক রয়েছে, সেটা কালেমায়ে তাওহীদের একান্ত দাবী। সাইয়েদেনা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণ-অনুকরণ, আনুগত্য ও মহাব্বতের পদ্ধিতিও হচ্ছে কালিমার উপর ঈমান ঈমান আনয়ন করা।
মোট কথা তাবলীগ ওয়ালারা স্বীয় দাওয়াতের কার্যক্রম এ কালেমা দিয়েই শুরু করেন। অতঃপর ইসলামী বিধানাবলীর মধ্য হতে নামাযের ব্যাপারে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। তাঁরা চান, প্রত্যেক মুসলমান নিয়মিত নামায আদায় করুন। যেমনটি আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দেশ দিয়েছেন এবং নামাযের বাহির ভিতর উভয় দিক লক্ষ্য রেখে যথা সাধ্য এমনভবে যেন নামায আদায়ের চেষ্টা চলে, যেভাবে রাসুলৈ কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা’লীম দিয়েছেন এবং যে নামায মানুষকে পা-পবিত্র করে দিয়ে আল্লাহ্ এবং রাসূলের আনুগত্য শিক্ষা দেয় এবং আখেরাতের স্মরণ-ধ্যান ও প্রস্তুতির স্বভাব তৈরি করে দেয়। অত:পর প্রত্যেক মুসলমানকে স্বীয় অবস্থানুযায়ী প্রয়োজনীয় দ্বীন শিখতে উদ্বৃদ্ধ করে। [চাই দ্বীনদারদের সংস্পর্শে থেকে হোক কিংবা কিতাবী ত’লীমের মাধ্যমে] এমনিভাবে প্রতিটি মুসলমানের জন্য আল্লাহ্ পাকের যিকির ও তার অভ্যাস এবং তা যেন স্বীয় জীবনের এক সাধের কাজ বনে যায়, সে জন্যেও চলবে প্রচেষ্টা (ইলম, তাছবীহ, কুরআন তিলাওয়াত, ইস্তেগফার, দূরুদ শরীফ এবং দু’আ এসব যিকিরের অন্তর্ভুক্ত) pdf Book Download
সাথে সাথে তারা এ দাওয়াত দিয়ে থাকেন যে, আল্লাহর সকল বান্দা বিশেষকরে রাসূলে পাক সা. উম্মতদের সাথে আমাদের আচার-আচরণ যেন হয় তাদের হক এবং মর্যদানুযায়ী রাসূল সা. এর নির্দেশিত পন্থায়। পৃথিবীর বুকে আমরা যে ইসলামী স্বভাব-চরিত্রের উত্তম আদর্শে পরিণত হই। pdf Book Download
তাদের দাওয়াতী মেহনতের ভাষ্য এটিও একটি যে, নিজের মাঝে এ সকল বিষয়গুলো সৃষ্টি করার জন্যে এবং উম্মতে মুহাম্মদীর মাঝে ঈমান, ঈমানী গুণাবলী, ঈমান ওয়ালা জীবন এবং দাওয়াতকে ব্যাপক ও প্রসার করার মানসে জামাতরূপে দূর-দূরান্তে সফর, হিজরত, এ পথে স্বীয় আরাম-আয়েশ, সময় ও মাল কুরবানী করাকে স্বীয় জীবনের একটি বিরাট অংশ হিসেবে মেনে নিতে হবে। বিশেষ করে নির্দিষ্ট দিনগুলোতে এ সকল বিষয় নিয়েই ব্যস্ত থাকবে এবং দূরে থাকবে এমন সব বিষয় থেকে যে গুলো না দ্বীনের জন্য উপকার না দুনিয়ার জন্য, যদিও সেগুলো বৈধ হোক না কেন।
তাদের সর্বশেষ কথা হচ্ছে- এসকল মিশন এবং জীবনের সকল কার্যক্রম একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং পরকালের সাওয়াবের জন্যই যেন হয়। পার্থিব কোন লক্ষ্য উদ্দেশ্য কিংবা উপকার লক্ষ্য উদ্দেশ্য থাকবে না।
জীবনের সকল চেষ্ট-প্রচেষ্টার ফলে অবস্থা যেন এরূপ দাঁড়ায় ‘আমার নামায, আমার কুরবাণী, আমার জীবন, আমার মরণ বিশ্ববিধাতা আল্লাহরই জন্যে। যার কোন শরীক নেই। এজন্যেই আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং আমিই সর্বপ্রথম আনুগত্য স্বীকারকারী। সূরা আন’আম, আয়াত-১৬২
তাঁরা তাদের ক্রমধারায় কোন শাইখর হাতে বাইয়াত হওয়া, কোন সিলসিলার সাথে সম্পৃক্ত হওয়া, কোন জামাত বা দলের সদস্য বা সহযোগী হওয়া, অথবা কোন বিশেষ ফেকহী মত কিংবা সুফিয়ানা পন্থা অবলম্বনের দাওয়াত দেন না, বরং উপর থেকে জোর তাকিদ দেয়া হয় এধরণের পদ্ধতি অবলম্বন থেকে বেঁচে থাকতে এবং বলা হয়- শুধু আল্লাহ, রাসূল, দ্বীনী যিন্দেগী এবং দ্বীনী দাওয়াতের মেহনতের দিকে মানুষকে আহবান করতে। pdf Book Download
আমি (লেখক) বার বার হযরত মাওলানা ইলিয়ান (রাহঃ) এর মুখ থেকে নিজ কানে শুনেছি। তিনি জোর তাগিত দিয়ে বলতেন- তোমরা দ্বীনি দাওয়াতের এ মেহনতী কাজে আমার ব্যক্তিত্ব এবং আমার নাম উল্লেখ না করার চেষ্ট করবে।
মোদ্দাকথা তাবলীগ জামাত যেখানেই থাক, তাঁরা উপরোল্লেখিত বিষয়াবলীর উপরই তাঁদের দাওয়াতী কাজ চালিয়ে থাকেন।
জামাতের আহলে ইলম হযরতগণ এই বিষয়গুলোই স্বীয় ইলম পদ্ধতিতে বলে থাকেন। অন্যান্য যাদের লিখা-পড়া কম, তারা স্বীয় জ্ঞান…….. কিতাবটির বাকি অংশ পড়তে পিডিএফ ফাইলটি ডাউনলোড করে নিন।
pdf Book Download