ইমাম গাজ্জালী রহ.
বিসমিল্লাহীর রহমানির রাহীম
bangla kitab ইমাম গাজ্জালী রহ. এর সংক্ষিপ্ত জীবনী
ইমাম গাজ্জালী রহ. ছিলেন একাধারে সত্যিকার অর্থে আলেম, আধ্যাত্নিক সাধক এবং একজন সুবিজ্ঞ গ্রন্থকার। তা’ছাড়া তিনি এক নিষ্ঠাবান সংস্কারকও ছিলেন। তিনি গাজ্জাল নামেই খ্যাত।
নামকরণ ও জন্ম তারিখ ইমাম গাজ্জালীর আসল নাম হলো “মুহাম্মদ আবু হামেদ”। গাজ্জালী উপাধী এবং ওরফী নাম। জয়নুদ্দীন তার উপনাম। অধিকাংশ ঐতিহাসিকদের মতে তুসের ‘গাজ্জাল’ নামানুসারে তাঁর ‘গাজ্জালী’ নামকরণ করা হয়েছে। তবে প্রকৃত কথা এই যে, ‘গাজ্জাল’ থেকেই তিনি গাজ্জালী নামে খ্যাত হন। এর অর্থ সূতা কাটা। তাঁর পিতা উন্ কাটতেন এবং তার তেজারত করতেন। একারণে তাকে গাজ্জালী বলা হতো।
ইমাম গাজ্জালী খোরাসান জেলার অন্তর্গত তুসের তাহেরায় ৪৫০ হিজরীতে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার অন্তিমকালে তিনি তাঁর দুই পুত্র মুহাম্মদ গাজ্জালী ও আহমদ গাজ্জালীকে শিক্ষা-দীক্ষা দানের উদ্দেশ্যে এক বন্ধু হাতে সোপর্দ করে যান।
ইমাম গাজ্জালী রহ. এর শিক্ষা জীবন
পৈতৃক পুঁজি ফুরিয়ে গেলে পিতার সেই ধার্মিক বন্ধুও আর্থিক অনটনের কারণে ইমাম গাজ্জালীকে এক মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দেন। সেখানে শিক্ষার্থীদের জন্য খাওয়া-পরারও ব্যবস্থা ছিল। ইমাম গাজ্জালী তার শিক্ষাজীবনের কথা প্রসঙ্গে বলেনঃ আমি পার্থিব উদ্দেশ্যে এবং জীবিকার জন্যই ইল্ ম শিক্ষা শুরু করেছিলাম; কিন্তু দেখা গেলে, ইল্ ম সেভাবে অর্জিত হবার নয়, বরং একমাত্র আল্লাহর জন্যই ইল্ ম অর্জিত হতে পারে।
আজকে ন্যায় তখনকার দিনে স্কুল মাদ্রসা ছিল না। শিক্ষার্থীগণ মসজিদ ও খানকাগুলোতে ইল্ ম শিক্ষা করতেন।
ইমাম গাজ্জালী নিজ দেশের আহাম্মদ বিন মুহাম্মদ রাযকানী নামক এক বিজ্ঞ আলেমের কাছে কাছে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। এরপর তিনি জুরজানের বিখ্যাত আলেম আবু নসর ইসমাইলের কাছে শিক্ষা লাভ করেন। ওস্তাদের নিকট থেকে বক্তৃতাগুলো শিক্ষার্থীগণ নোট করে নিতেন। সেকেলে শিক্ষার এই নীতি ছিল। এরপরে তৎকালীন প্রসিদ্ধ শিক্ষাকেন্দ্র নিশাপুর চলে যান। সেখানে তিনি প্রসিদ্ধ আলেম আব্দুল জিয়াউদ্দিনের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। জিয়াউদ্দিন ছিলেন একজন উচ্চ শ্রেণীর বিদ্বান পন্ডিত। তার কাছে শিক্ষা অর্জনের পর গাজ্জাল বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন এবং বড় বড় জ্ঞানীর সভায় জ্ঞানমূলক বিতর্কে জয় লাভ করতে থাকেন।
তুসের নিজামুল মুলকের দরবারে এক সময় বিতর্ক সভার অনুষ্ঠান হয়। সেখানে দূরদূরান্ত থেকে খ্যাতনামা বিদ্বানগণ সমবেত হয়েছিলেন। এই সভায় ইমাম গাজ্জালীও উপস্থিত ছিলেন। বিতর্কে যিনি বিজয় মুকুট লাভ করেন, তিনি ছিলেন তরুন বয়স্ক আলেম ইমাম গাজ্জালী। এই সাফল্য এবং বিজয় তার খ্যাতি বহুগুণ বাড়িয়ে দিল।
ইমাম গাজ্জালীর শিক্ষাজীবনের একটি প্রসিদ্ধ ঘটনাঃ তিনি একসময় নিজ পিতৃভূমি তুসে আসছিলেন। পথে কাফেলা ডাকাত কর্তৃক লুন্ঠিত হলো। ইমাম গাজ্জালীর যা কিছু সম্বল ছিল, তাও লুট হয়ে যায়। ইমাম গাজ্জালী ওস্তাদগণের বক্তৃতার নোট খাতাগুলো লুন্ঠিত হওয়ায় সর্বাপেক্ষা বেশী মর্মাহত হয়েছিলেন। তিনি ডাকাত সর্দারের কাছে গিয়ে সে কাগজগুলো ফেরত চাইলেন। ডাকাত হেসে বলল. “তবে কোন ছাই পড়েছ?” এই বলে ডাকাত কাগজগুলো ফেরত দিল।
কথাটা অবশ্য সামান্য শুনতে; কিন্তু ইমামের মনে ডাকাতের কথাটি এমন দাগ কেটে গেল যে, তিনি জীবনে যা কিছু শিখতেন মুখস্ত করে রাখাতেন।
ইমাম গাজ্জালী হাদীস শিক্ষা
তৎকালীন প্রচলিত শিক্ষা সমাপ্তির পর তিনি হাদীস শিক্ষার প্রতি মনোনিবেশ করেন। তিনি হাদীস শিক্ষার জন্য আল্লামা ইসমাইল হাফসী এবং হাফেজ ওমর বিন আবিল হাসান রুসানীকে নির্বাচিত করেন। এরা উভয়েই হাদীস শাস্ত্রে বিশেষ পারদর্শী ছিলেন।
উপরোক্ত মুহাদ্দিসদ্বয়কে ইমাম সাহেব তুসে নিজ গৃহে স্থান দান করেন, তাঁদের সেবা করেন এবং হাদীস শাস্ত্রের প্রসিদ্ধ কিতাব বুখারী ও মুসলিম তাঁদের কাছে শিক্ষালাভ করেন। এভাবে তিনি শেষ জীবনে হাদীস শাস্ত্রে জ্ঞান অর্জন করেন।
নিজামিয়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে নিযুক্তি
৪৮০হিজরী সনে ইমাম গাজ্জালী বিশেষ মর্যাদা সহকারে দারুল উলুম নিজামিয়ার প্রধান অধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত হন। তুসের শাসনকর্তা নিজামুল মূলক বহু অর্থ ব্যয়ে এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। দারুল উলুম নিজামিয়ার প্রধান শিক্ষকের পদটি সামান্য কিছু ছিল না। উহার যথেষ্ঠ গুরুত্ত্ব ছিল, যেহেতু তৎকালীন শ্রেষ্ঠ বিদ্বানগণ অনেকেই উক্ত পদটি অলংকৃত করেছিলেন। সুতরাং এই পদে বরিত হওয়া আর প্রধান অধ্যক্ষের পদ লাভ করা জ্ঞানীদের দৃষ্টিতে ইমাম গাজ্জালীর একটা বিরাট সাফল্য হিসাবে গণ্য হলো।
অনেক দিন যাবত এই পদে অধিষ্ঠিত থেকে বিশেষ দক্ষতার সাথে শিক্ষা দান করেন। তাঁর কাছে শত শত শিক্ষার্থী শিক্ষালাভ করেন। তাঁর শাগরিদগণের মধ্যে বহু গুণী-জ্ঞানী সৃষ্টি হয়।
ইমাম গাজ্জালী প্রথম জীবনে বিশেষ শান-শওকতের জীবন যাপন করতেন। তিনি অত্যন্ত সৌখিন ও বিলাস প্রিয় ছিলেন- রেশমী পোশাক পরিধান করতেন। ইমাম জওজী বলেন, তিনি রেশমী স্বর্ণখচিত জামা-জুব্বাও পরিধান করতেন।
এই সময় তার মধ্যে হঠাৎ আমুল পরিবর্তন এসে গেল। তিনি সংসারের সাথে সম্পর্ক বর্জন করে নির্জনতা অবলম্বন করলেন। জ্ঞান ও ধর্মীয় বিতর্কের প্রতি তাঁর বিরক্তি এসে গেল। তিনি আধ্যাত্নিক ধ্যান-ধারণা ও ধর্মীয় গবেষণায় গভীরভাবে লিপ্ত হলেন। পার্থিব জীবনের চাকচিক্য থেকে তার মন ফিরে গেল। আহার-বিহার, পোশাক-পরিচ্ছেদে তিন লৌকিকতা বর্জন করলেন। একটিমাত্র কম্বলকেই তিনি সম্বল করলেন। মামুলী ধরনের খাদ্য, শাক-সব্জি খেয়ে তিনি দিন কাটাতে শুরু করে দিলেন। এভাবে তার আধ্যাত্মিক সাধকের রং- এ রূপান্তরিত হয়ে উঠল। তিনি নির্জনতার মধ্যে কৃচ্ছ্র সাধনায় অভস্থ্য হলেন। এই অবস্থায় তিনি বু-আলী করোনদীর তরিকার বায়াআত গ্রহণ করেন।
ইমাম গাজ্জালী রহ. এর নির্জনতা অবলম্বনকালীন এটি ঘটনা
এক ব্যক্তি ইমাম গাজ্জালীকে মরুভূমির মধ্যে একটি কম্বল পরিহিত অবস্থায় একটি থলে হাতে নিয়ে উদাসীনভাবে বিচরণ করতে দেখলেন। পরে তিনি সেই ইমাম গাজ্জালীকে অন্য সময় তাঁর তালিমের হালকায় চার শতাধিক শিক্ষার্থী পরিবেষ্টিত অবস্থায় দেখলেন। লোকটি তাকে এই অবস্থায় দেখে জিজ্ঞাসা করলো “পূর্বের চেয়ে এই অবস্থা কি উত্তম?” তিনি দু’লাইন কবিতার মাধ্যমে জবাব দিলেন। তার মর্মার্থ এইঃ
“লাইলা আর সূদার প্রেম তো ঘরেই বর্জন করেছি; এবার সত্যিকারের মাহবুব আর সর্বশ্রেষ্ঠ বন্ধুর খোজে বেরিয়েছি। প্রেম আমাকে ডাকছে- হে মরুচারী! কোথায় যাও, এদিকে এসো এখানে তোমার প্রিয়তমের আস্তানা, এবার তুমি ভ্রমণ বন্ধ করো।”
ইমাম গাজ্জালী রহ. এর সংসার বৈরাগ্যের কারণ
জ্ঞান শিক্ষাদান, ধর্মীয় বিতর্ক ও আলোচনা এবং ওয়াজ-নসীহতের ন্যায় পবিত্র মজলিস অনুষ্ঠান পরিত্যাগ করে তিনি নির্জনতা অবলম্বন করলেন, কিসের প্রেরণায় তিনি এই পথ অবলম্বন করেছিলেন? ঐতিহাসিকগণ এ সম্পর্কে তার ভাই আহামদ গাজ্জালীর একটি ঘটনা বর্ণনা করেন। এক সময় ইমাম গাজ্জালী এক সভায় ওয়াজ করছিলেন। সহস্র সহস্র আলেম, বিদ্বান বিশিষ্ট আমীর ওমরাহ্ মজলিসে উপস্থিত ছিলেন। এমন সময় হঠাৎ তার ভাই আহাম্মদ গাজ্জালী এসে উপস্থিত হলে, তিনি দু’লাইন কবিতা পাঠ করলেন, যার মর্মার্থ এইঃ
“তুমি অন্যকে হেদায়াত করছো অথচ তুমি নিজে তা পালন করছো না, অন্যকে উপদেশ দিচ্ছ অথচ তুমি তার অনুসারী নও, হে প্রস্তরখন্ড; কতদিন তুমি আর অস্ত্র শান দেবে অথচ কাটবে না।”
ইমামের প্রতি এই দু’লাইন কবিতার এমনই প্রতিক্রিয়া হলো যে তিনি আর কখনোই ওয়াজ করেন নি। আত্নশুদ্ধিতে তিনি এভাবে নিমজ্জিত হলেন যে, পার্থিব জীবন থেকে তিনি একেবারে বিমুখ হলেন। অতঃপর সারা জীবন তিনি আধ্যাত্নিক সাধনার ভিতর দিয়ে অতিবাহিত করেন।
ঐতিহাসিক আল্লামা শিবলী উপরোক্ত কারণকেই তাঁর সংসার বিসর্জনের উপলক্ষ বলে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু ইমাম গাজ্জালী তাঁর লিখিত “আলমুনকায মিনাদদালাল” গ্রন্থে এভাবে উল্লেখ করেছেনঃ
“আমি জ্ঞান শিক্ষার পর যখন সূফিসাধকগণের পথের প্রতি অগ্রসর হলাম, তখন দেখতে পেলাম যে আধ্যাতিক সাধনা দ্বারাই এ পথের সাফল্য লাভ করা যায়। এই জ্ঞানের সাহায্যেই পার্থিব বাসনা প্রবৃত্তির কামনা থেকে উদ্ধার পাওয়া যেতে পারে। এই জ্ঞানের সাহায্যে অন্তরকে দুনিয়াদারী হতে পাক-সাফ করা এবং আল্লাহর যিকিরের নূরে আলোকিত করা সম্ভব।” bangla kitab
ইমাম গাজ্জালী তার এই আধ্যাতিক জীবনধারার প্রতি এতই আকৃষ্ট ছিলেন যে, এর তুলনায় তিনি তার অতীতের জীবনকে মূর্খতা ও অন্ধকার জীবন বলে মনে করতেন। ইমাম গাজ্জাল যখন মাঠ-ময়দানে ঘুরে বেড়াতেন, তখন তাঁর কাছে এক ব্যক্তি কোন বিষয়ে ফতোয়া জিজ্ঞাসা করেছিলেন। তিনি তার উত্তরে বললেন- “চলে যাও, এ তো সেই বাতিল জীবনকে স্বরণ করিয়ে দিচ্ছ, যখন ফতোয়া দেয়ার কাজ করতাম, তখন যদি আমার কাছে এ প্রশ্ন করতে উত্তর দেয়া যেত।”
ইমাম গাজ্জালীর উপরোক্ত জবাবের দ্বারা অনুমান করা যায় যে, তিনি আধ্যাত্নিক জগতের এত উচ্চস্তরে উন্নীত হয়েছিলেন যে, বাহ্যিক ইলম শিক্ষা, চর্চা ও ফতোয়া লেখার জীবনকে নিষ্ফল ও ব্যস্ততার জীবন বলে গণ্য করতেন।
জুননুন মিসরী রহ. সম্ভবত এসব পূতঃ চরিত্রসাধকদের সম্পর্কে বলেছেনঃ “এরা হচ্ছেন সেই লোক যারা দুনিয়ার সবকিছুর উপরে আল্লাহকে স্থান দেন। আর তারা হয়ে যান আল্লাহর একান্ত প্রিয়। বস্তুতঃ মানুষ যখন সাধনার স্তরে পৌছে তখন তাদের একমাত্র মাহবূব ছাড়া জীবনে আর কোন কিছুই উদ্দেশ্য থাকে না।”
ইমাম গাজ্জালী রহ. এর কবিতা চর্চা
তিনি কবিতাও চর্চা করতেন। তবে তা রুবাইয়্ত পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল। কাসীদা, স্তুতি বা তোষামোদমূলক কবিতা তিনি লেখতেন না, যেহেতু তার স্বাধীন প্রকৃতির পক্ষে তা বাঞ্ছনীয় ছিল না। এ কারণে তিনি কখনও কারো জন্য কাদীসা লেখেন নি।
ইমাম গাজ্জালী রহ. এর গ্রন্থ রচনা
যদিও তাঁর আধ্যাত্নিক সাধনার যুগে দুনিয়ার সব কাজই বর্জন করেছিলেন- তা সত্বেও এই নির্জনতার জীবনে গ্রন্থাদি রচনার কাজ অব্যাহত ছিল। বিভিন্ন জ্ঞান ও শাস্ত্রে তাঁর বিস্তর গ্রন্থ দেখতে পাওয়া যায়। বিশেষ করে কালাম শাস্ত্র আর আখলাক বা নীতিশাস্ত্রের উপর তার ব্যাপক রচনা রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে কয়েকখানির নাম নিম্নে উল্লেখ করা গেলঃ
ইমাম গাজ্জালী রহ. কর্তৃক রচিত গ্রন্থাবলী
তার লিখিত গ্রন্থাবলীর মধ্যে অন্যতম kitab গুলো হচ্ছে, যথাঃ ইহইয়ায়ে উলুম, কিমিয়া-ই-সায়াদাত, জওয়াহিরুল কুরআন, তাহাফাতুল ফালাসিফা, হাকীকাতুর রূহ, আজাইবুল মাখলুকাত, ইয়াকুত্তাবীর ফীত্তাসীর, মিনহাজুল আবেদীন, তালিমুদ্দিনে কাশফু উলুমুল আখেরাত প্রভূতি গ্রন্থ দেখে অবাক হতে হয়। তার মাত্র ৫৫ বৎসরের সংক্ষিপ্ত জীবন যার মধ্যে তার সংসার ত্যাগ আধ্যাত্নিক সাধনার জীবনও রয়েছে, রয়েছে তার শৈশব ও শিক্ষা জীবন, আরোও রয়েছে না বিপদ-আপদে জর্জরিত জীবন- এ মধ্যে এত অধিক সংখ্যক গ্রন্থ রচনা সহজসাধ্য ছিল না।
ইমাম গাজ্জালী রহ. এর ওফাৎ/পরোলোক গমন
হায়! জ্ঞান ও মনীষার এই উজ্জ্বল সূর্য মাত্র ৫৫ বৎসর বয়সে ৫০৫ হিজরী সনে নিজ জন্মভূমি তাহেরায় চিরদিনের জন্য অস্তমিত হলেন। তবে তাঁর রচিত গ্রন্থাবলী আজও অম্লান এবং কেয়ামত পর্যন্ত তা বিলুপ্ত হবার নয়। সফীনাতুল আওলিয়ার গ্রন্থাকার ইমাম গাজ্জালীর সমাধি বাগদাদে বলে লিখেছেন।
ইবনে জওযী ইমাম গাজ্জালীর মৃত্যু প্রসঙ্গে লিখেছেন যে, ৫০৫হিজরীর ১৪ই জামদিউসসানী-১১১১ঈসাই ১৮ই ডিসেম্বর ভোরে স্বাভাবিকভাবে জাগ্রত হন এবং অজু করে নামায আদায় করার পর তিনি নিজ কাফন চেয়ে নিজ চোখে লাগালেন, আর বললেন “আল্লাহর হুকুম শিরধার্য”। এই বলে তিনি অন্তিম শয্যায় শয়ন করলেন। আর তিনি কখনও ওঠেন নি।
মুহাম্মদ আলী
লুতফী
১৯৫৬
সম্পূর্ণ জীবনীটি সংগ্রহ করা হয়েছে ইমাম গাজ্জালী রচিত “সৃষ্টি দর্শন” নামক টি ফ্রিতে ডাউনলোড করতে চাইলে এখানে ক্লিক করতে পারে।